সৌন্দর্যের উৎপত্তি (Origin of beauty)
লেখক- এদুয়ার্দো গ্যালিয়ানো
ঐ
তো, তারা ওখানেই, গুহার দেয়ালে ও ছাদে চিত্রিত অবস্থায় রয়েছে।
বাইসন,
এলক, ভালুক, ঘোড়া, ঈগল, নারী, পুরুষ- শ্বাশ্বত, কালজয়ী সব প্রতিকৃতি। হাজার হাজার
বছর আগে তাদের প্রত্যেকের জন্ম। কিন্তু কেউ যখন তাদের দিকে তাকায়, তাদের যেন
নবজন্ম ঘটে।
আমাদের
পূর্বপুরুষেরা কীভাবে এতটা সূক্ষ্মভাবে আঁকতে শিখেছিলো? যে বর্বর পুরুষ নিজের খালি
হাত দিয়ে বন্যপশুর সাথে লড়াই করত, সেই হাত দিয়েই সে কীভাবে এতটা মমতা দিয়ে ছবি
আঁকতে পারতো? তাঁর আঁকিবুঁকিগুলো কীভাবে পাথরের বন্ধন থেকে মুক্তি পেয়ে সকলের মনে
জায়গা করে নিয়েছিল? কীভাবে সেই পুরুষেরা কাজটা করতে সক্ষম হয়েছিলেন?...
নাকি
এটা কোনো নারীর কাজ ছিল?
অ্যা ফিস্ট অব ফুট
লেখক- এদুয়ার্দো গ্যালিয়ানো
এডাম ও ইভ কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন?
আফ্রিকা থেকে এ জগতে মানুষের পদচারণা শুরু হয়। সেখান
থেকে আমাদের পূর্বপুরুষেরা গোটা পৃথিবী জয়ে বেরিয়ে পড়েন। অসংখ্য পথ তাদেরকে অসংখ্য
নিয়তির পথে নিয়ে যায়। আর সেভাবেই সূর্য সকলের মধ্যে রঙের বন্টন করে।
আজ গোটা পৃথিবীর মধ্যে যে পরিমাণ রঙের সমাহার, তা আকাশের
রংধনুকেও হার মানাবে। কিন্তু আমরা সকলেই আফ্রিকা থেকে আগত অভিবাসী। সবচেয়ে
ধবধবে সাদা শ্বেতাঙ্গ মানুষটাও আফ্রিকা থেকেই আগত।
কিন্তু আমরা সেটা মানতে চাই না। বোধহয় বর্ণবাদের কারণে
আমাদের স্মৃতিভ্রম ঘটেছে। কিংবা এটাও হতে পারে যে, অতীতে গোটা পৃথিবীটাই যে আমাদের
রাজ্য ছিল তা আজ আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়। একটা বিশাল সীমারেখাহীন একটা
রাজত্ব, যেখানে নিজের পা বাদে আর কোনো পাসপোর্টের প্রয়োজন পড়ত না।
Source -Mirrors: Stories of Almost Everyone
by
Eduardo Galeano
No comments:
Post a Comment